অনেক জায়গাতেই পড়েছো হয়তো তবুও আমিও একটু চেষ্টা করলাম একটু সাহায্য করতে। আসলে এই সময়ে ঘরে থেকে থেকে অনেকেরই একটা সমস্যা মাথা চাড়া দিচ্ছে আর তাহলো ওজন বৃদ্ধি। আর সমস্যার সূত্র হলো সেখানে , যেখানে প্রায় সবসময়েই মনে হচ্ছে আমাদের খিদে পেয়েছে বা খিদে পাচ্ছে। এই সমস্যাটাকে শেষ করতে পারলেই কিন্তু ওজন বাড়ার প্রবণতাকে কমানো যাবে। চলো একটু জেনে নিই , আমিও করছি এরকমগুলো , পারলে তোমরা ও করো।
১) মসলা যুক্ত খাবার – একটু মসলা মানে বিশেষ করে লঙ্কা জাতীয় মসলা খাবারে ব্যবহার করলে আমাদের খিদে পাওয়ার প্রবণতা কমে। কেয়ন পিপার বা লাল রঙের ছোট ক্যাপসিকাম রান্নায় ব্যবহার করলে বা সালাদ হিসাবে খেলে বেশ উপকার পাওয়া যায়। এটি খেলে ক্যালোরি ও ঝরে শরীর থেকে।
২) মিষ্টি পানীয় – গরমের সময় খুবই ঠান্ডা পানীয় খেতে ইচ্ছা করে। ছোট গ্লাসে ভর্তি করে পানীয় নেবার বদলে সরু মুখের লম্বা গ্লাস নাও। তার সাথে কিছু বরফ কুচি রাখলে মনে হবে গ্লাস ভর্তি পানীয়। আর একটু করে খেতে থাকলে অনেকটা পানীয় খাবার ইচ্ছা কমে যাবে।
৩)পুদিনা – খিদে কমিয়ে রাখার জন্য পুদিনা খুব কার্যকরী। তাই পুদিনা গন্ধযুক্ত যে কোনো খাবার যেমন পুদিনা চা , ক্যান্ডি , আইসক্রিম এগুলো কিনে খেতেই পারো। তবে সব থেকে ভালো হয় পুদিনা পাতা খেতে পারলে সালাদ হিসাবে। আর শশার সাথে এটি মিশিয়ে ব্লেন্ড করে পানীয় হিসাবে খাওয়া। উপকার পাবেই।
৪) প্লেটের রং – আমাদের শরীরের খিদের সাথে প্লেটের রং এর কিন্তু যোগ আছে। এক্ষেত্রে এমন প্লেট নিতে হবে যাতে তোমার খাবারের রং তার বিপরীত হয় , মানে কালার -কন্ট্রাস্ট যেন বেশি হয়। তবে সবথেকে উপযোগী হলো লাল রঙের প্লেটে খাওয়া। এই রঙের উগ্রতা আমাদের বেশি খেতে বাধা দেয়।
৫) ছোট প্লেট– লক্ষ্য করে দেখেছি , বাফেতে খাবার দেয়ার সময় রেস্টুরেন্টে সাধারণত ছোট সাইজের খাবার প্লেট ব্যবহার করে। এরকম যদি নিজেদের জন্য ও করা হয় তবে খাবার কম খাওয়া হবে।
৬) ডেজার্ট – অনেকেরই অভ্যাস থাকে খাবার পর একটু করে মিষ্টি মুখ করা। আবার এই মিষ্টি খাবারই শরীরের মেদ বৃদ্ধিতে খুব সাহায্য করে। তাই খুব এড়িয়ে না চলতে পারলে আমাদের চেষ্টা করতে হবে একটু অন্যরকম করে মিষ্টি খেতে। যেমন হালকা মিষ্টি বা মধু দিয়ে কোনো রিল্যাক্সিং চা পান করে দেখতে পারো।
৭) জলের গ্লাস – হাতের কাছেই যেন থাকে জলের গ্লাস। শরীরে একটু বেশি করে জল জমা রাখলে খিদে পাওয়া কম হয়। বিশেষ করে খাবার খাওয়া আধ ঘন্টা আগে জল খেয়ে নিতে পারলে পেট ভরাতে বাড়তি খাবার খেতে হবে না।
৮) সবজি যত খুশি – ওটমিল যদি কুচি করা আপেলের সাথে খাও তবে পেট অনেক্ষন ভরা থাকবে। খাবারের অর্ধেক যদি সবকি দিয়ে ভরিয়ে ফেলা যায় তবে ওজনের ব্যাপারে চিন্তা থাকবে কম।